৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সম্মেলনের পতাকা উত্তোলন।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
কেন্দ্রীয় সভাপতি ড৽ রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী এবং সম্মেলনের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত এবং সম্মেলনের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৪৩ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা, বড়খলা 
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ভাষা আকাদেমি পত্রিকার উন্মোচন অনুষ্ঠানে 
মাননীয় মন্ত্রী শ্রী কৌশিক রায়।
“ভাষা আকাদেমি পত্রিকা- ৭ম সংখ্যা”  
-এর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন।
ভাষা আকাদেমি পত্রিকার উন্মোচন উপলক্ষে বিশেষ সংলাপ : বরাক উপত্যকার আর্থিক বিকাশ;
মুখ্যবক্তা: মাননীয় মন্ত্রী শ্রী কৌশিক রায়।
বাংলা ডিপ্লোমা পাঠক্রমের পঞ্চম বর্ষের প্রথম ক্লাস- 
ক্লাস নিচ্ছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড০ রাহুল দাস।
আবৃত্তি কর্মশালা- 
করিমগঞ্জ জেলা সমিতি, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন।

পরিচিতি

আমাদের সম্পর্কে

       ঐতিহাসিক কাল থেকে বরাক উপত্যকায় বাংলাভাষী মানুষের বসবাস। শাসনতান্ত্রিক সুবিধা বিবেচনায় এই নদী-বিধৌত অঞ্চলটিকে বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলেও ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির আপন স্বকীয়তা নিয়ে এই উপত্যকায় বসবাস করে আসছেন বাঙালিরা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও উপত্যকায় বসবাসকারী অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে এক নিবিড় আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রেখে চলেছেন ইতিহাসের কাল থেকেই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখন এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদ সমগ্র আসাম রাজ্যকে আচ্ছন্ন করতে উদ্যত হয় তখন তার ঢেউ এসে এই উপত্যকাকেও গ্রাস করতে চায়। বহুভাষিক এই রাজ্যটির মূল চরিত্রকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং সকল ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের আপন আপন ভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষাকল্পে বরাক উপত্যকার সকল ভাষাভাষী মানুষই এক ব্যাপক সচেতনতার প্রকাশ ঘটান এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন।

       কিন্তু আগ্রাসনেচ্ছু উগ্র ও সংকীর্ণতাবাদীরা তাতে নিরস্ত না হয়ে ভিন্ন ধরনের কৌশলে এই উপত্যকার মানুষদের ভাষিক পরিচয় মুছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৬১ সালের ১৯ মে তরতাজা এগারোটি তরুণ প্রাণ-কে পুলিশের গুলির মুখে আত্মাহূতি দিতে হয় মাতৃভাষার সাংবিধানিক অধিকার রক্ষাকল্পে। পরবর্তীকালে আরও একাধিক জন শহিদ হন। একটি স্বাধীন দেশের ইতিহাসে এই গুলিচালনা শুধু মর্মন্তুদই নয়, সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করারই নামান্তর। এই কলঙ্কময় ইতিহাস রচনার পরও সংকীর্ণ উগ্র জাতীয়তাবাদীরা নিশ্চেষ্ট না হয়ে সুকৌশলে তাদের আগ্রাসী মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে চলেছে এবং অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের ভাষা, স্বকীয় বৈশিষ্ট্যকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

       এমন এক পরিস্থিতিতে বরাক উপত্যকার বৃহত্তম ভাষিকগোষ্ঠী বাঙালি আপন মাতৃভাষা সহ অন্যান্য ভাষিক গোষ্ঠীর মানুষদের সাংবিধানিক অধিকার ও আপন আপন মাতৃভাষা ও জাতীয় চরিত্র অক্ষুণ্ণ ও সুরক্ষিত রাখা এবং বিকাশ ঘটাবার নৈতিক দায়িত্ব অনুধাবন করেই এ অঞ্চলের কিছু সংখ্যক মাতৃভাষাপ্রেমিকের প্রচেষ্টায় ১৩৮৩ বঙ্গাব্দে (১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে) ‘কাছাড় বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেয়। পরবর্তী সময়ে উপত্যকায় তিনটি জেলা সৃষ্টির ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় ‘বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন’।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
  • ‘সম্মেলন’ একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতিমূলক অপেশাদার অরাজনৈতিক সংস্থা।
  • ঘোষিত কর্মক্ষেত্রে বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতির ব্যাপক চর্চা, প্রসার ও অবশ্য উন্নয়ন সাধন ও বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আলোচনা, চিন্তা ও গবেষণা করা, বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষা করা এবং ইহার পরিপন্থী কোনো ধরনের অপপ্রয়াস প্রতিহত করা।
  • ‘সম্মেলন’-এর আদর্শ ও লক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অন্যান্য সংগঠনগুলির সঙ্গে ভ্রাতৃত্বমূলক সু-সম্পর্ক স্থাপন ও বৃদ্ধি করা এবং অন্যান্য ভাষা ও সাহিত্যগোষ্ঠীর সঙ্গেও অনুরূপ সু-সম্পর্ক স্থাপন ও সম্প্রসারণ করা;প্রতেক গোষ্ঠীর মাতৃভাষার নিজস্ব প্রতিভা বিকাশে সহায়তা ও সহযোগিতা করা।
  • গ্রন্থাগার ও পাঠাগার ইত্যাদি স্থাপন, আলোচনাচক্র, সাহিত্যবাসর, প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি, সম্মেলন ইত্যাদি সংগঠিত করা।
  • বরাক উপত্যকার লেখক, লেখিকা, কবি ও সাহিত্যিক, সংস্কৃতিপ্রেমী ব্যক্তিদের পুস্তকাদি মুদ্রণ, প্রকাশনা ও বিপণনের ব্যবস্থা করা এবং এ ব্যাপারে সাহায্য ও সহযোগিতা করা। আরোও  →
স্থাপনা

সম্মেলনের ইতিহাস
~: স্থাপিত :~
১৩৮৩ বঙ্গাব্দ (১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ)
গঠনতন্ত্র
একটি সংস্থা বা সংগঠন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্র বা সংবিধান অপরিহার্য। বরাক উপত্যকার ভাষিক-সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়, তার সুরক্ষা এবং আগ্রাসন প্রতিহত করার লক্ষে ১৩৮৩ বঙ্গাব্দে (১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ) গঠিত বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের সূচনা পর্বেই তার সংবিধান বা গঠনতন্ত্র তৈরি হয়েছিল। তবে সময়ের প্রয়োজনে সময়ে সময়ে এই সংবিধান বা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন/সংযোজন হয়েছে। সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনের প্রতিনিথি সভায় সংগঠনের সমসাময়িক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধারা সংবিধানে সংযোজনার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে এবং সে অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সংবিধানের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান গঠনতন্ত্র সম্মেলনের ২৯তম অধিবেশনের পর প্রকাশ করা হয়েছে।

১। সংস্থার নাম:
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। (এ গঠনতন্ত্রে ‘সম্মেলন’ পদটি ‘বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।)
সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র  →

 সাহিত্য 

 সংস্কৃতি 

 অধিবেশন 

 প্রতিবেদন 

 আরো কিছু ... 

  • নথিপত্র
  • প্রকাশনা
  • গ্রন্থাগার
  • দূর-শিক্ষাকেন্দ্র
  • আলোকচিত্র
  • বিজ্ঞপ্তি
  •  যোগাযোগ 

    কেন্দ্রীয় সমিতি
    বঙ্গভবন
    অরুণকুমার চন্দ রোড
    সদরঘাট
    শিলচর - ৭৮৮ ০০১
    কাছাড়, আসাম ।
    জেলা সমিতি
    আঞ্চলিক সমিতি
    কলকাতা অধ্যায়